চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে ভাঙচুর করেছে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা।
বিটুমিন বরাদ্দ নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেঘনার উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মীর সাইফুল্লাহ আল খালেদের কক্ষে তিন ছাত্রলীগ নেতা প্রথমে নিজেরা হাতাহাতি এবং পরে ভাঙচুর ও নথিপত্র তছনছ করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন- কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন শান্ত, সাখাওয়াত হোসেন ওরফে বাবুল এবং সহ-সভাপতি জনি শিকদার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা পেট্রোলিয়াম থেকে প্রতি মাসে ২০ ড্রাম করে বিটুমিন ছাত্রলীগ নেতাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে এ বরাদ্দের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য শান্ত মেঘনার কর্মকর্তা মীর সাইফুল্লাহর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে প্রবেশ করেন সাখাওয়াত হোসেন ওরফে বাবুল ও জনি শিকদার।
জাহাঙ্গীর হোসেন শান্ত অভিযোগ করেন, বাবুল ও জনি কক্ষে ঢুকেই তাকে মারধর শুরু করে। তারা তার মোবাইল ফোন সেট ভেঙে ফেলেছে এবং টেবিলের কাচ ভাঙচুর করেছে।
তবে শান্তর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অপর নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমি নই, শান্তই (জাহাঙ্গীর হোসেন) ভাঙচুর করেছে। সে বিটুমিন নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের ওপর চাপ দিচ্ছিল। আমি এবং জনি সিকদার বিরোধিতা করি। কিন্তু শান্ত তা না মেনে একপর্যায়ে জনির ওপর আক্রমণ করে। এরপর কর্মকর্তার টেবিলের ওপর থাকা কাচ ভাঙচুর করে।”
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) আলীম উদ্দিন আহমেদ ভাঙচুরের বিষয়টি কথা স্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর তিন ছাত্রলীগ নেতা দ্রুত মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপর মেঘনা ভবনের নীচতলায় অবস্থানকারী তাদের অপর সহযোগীদের সঙ্গে তারা যোগ দেন।
এসময় উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা শুরু হলে তাদের নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদের এসে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
মেঘনার একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি বিটুমিন বরাদ্দের বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। জারির পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতারা আর আগের মতো করে বিটুমিন কিনতে পারছে না। এর ফলে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বিটুমিন বরাদ্দ নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেঘনার উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মীর সাইফুল্লাহ আল খালেদের কক্ষে তিন ছাত্রলীগ নেতা প্রথমে নিজেরা হাতাহাতি এবং পরে ভাঙচুর ও নথিপত্র তছনছ করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন- কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন শান্ত, সাখাওয়াত হোসেন ওরফে বাবুল এবং সহ-সভাপতি জনি শিকদার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা পেট্রোলিয়াম থেকে প্রতি মাসে ২০ ড্রাম করে বিটুমিন ছাত্রলীগ নেতাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে এ বরাদ্দের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য শান্ত মেঘনার কর্মকর্তা মীর সাইফুল্লাহর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে প্রবেশ করেন সাখাওয়াত হোসেন ওরফে বাবুল ও জনি শিকদার।
জাহাঙ্গীর হোসেন শান্ত অভিযোগ করেন, বাবুল ও জনি কক্ষে ঢুকেই তাকে মারধর শুরু করে। তারা তার মোবাইল ফোন সেট ভেঙে ফেলেছে এবং টেবিলের কাচ ভাঙচুর করেছে।
তবে শান্তর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অপর নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমি নই, শান্তই (জাহাঙ্গীর হোসেন) ভাঙচুর করেছে। সে বিটুমিন নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের ওপর চাপ দিচ্ছিল। আমি এবং জনি সিকদার বিরোধিতা করি। কিন্তু শান্ত তা না মেনে একপর্যায়ে জনির ওপর আক্রমণ করে। এরপর কর্মকর্তার টেবিলের ওপর থাকা কাচ ভাঙচুর করে।”
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) আলীম উদ্দিন আহমেদ ভাঙচুরের বিষয়টি কথা স্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর তিন ছাত্রলীগ নেতা দ্রুত মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপর মেঘনা ভবনের নীচতলায় অবস্থানকারী তাদের অপর সহযোগীদের সঙ্গে তারা যোগ দেন।
এসময় উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা শুরু হলে তাদের নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদের এসে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
মেঘনার একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি বিটুমিন বরাদ্দের বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। জারির পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতারা আর আগের মতো করে বিটুমিন কিনতে পারছে না। এর ফলে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
No comments:
Post a Comment